মোঃদিদার হোসেন পিন্টু ঃস্টাফ রির্পোটার।। জনপ্রিয় টিভি, মঞ্চ অভিনেতা ও নাট্য নির্মাতা পার্থিব মামুনের শুভ জন্মদিন আজ বৃহস্পতিবার। অভিনয় জগতে দীর্ঘবছরের পথচলায় একই সাথে তিনি অভিনয় করেছেন মঞ্চে ও টেলিভিশনে। অভিনেতা হিসেবে যেমন মিডিয়াতে জায়গা করে নিয়াছেন তেমন নির্মাতা হিসাবেও তার বেশ জায়গাটা শক্ত করে ফেলছেন। অভিনয়ের সময় চরিত্রের গভীরে প্রবেশ করার ক্ষমতা রাখেন তিনি। আর এজন্য দর্শকরাও তার অভিনয়ে মুগ্ধ হন। এবারের জন্মদিন জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালন করার কথা ছিল, কিন্তু হঠাৎ করে তার সহকর্মী ও মঞ্চ, টিভি, চলচ্চিত্র অভিনেতা মনির চৌধুরীর পিতার মৃত্যুতে তেমন কোনো অনুষ্ঠান করা হবে না বলে জানান পার্থিব মামুন। বলেন, ‘সহকর্মী মনির চৌধুরীর পিতার মৃত্যুেতে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। এজন্য আমার জন্মদিনে তেমন কোনো আয়োজন করব না। এছাড়াও জন্মদিনের দিন শুটিংও করব না। এই দিন শুধু পরিবার ও কাছের মানুষদেরকে নিয়ে গরীব অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ করবো বলে ঠিক করেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার ইচ্ছা আছে আজ পরিবার নিয়ে মেঘনার বুকে নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়াবো। । এছাড়াও জন্মদিনে সহকর্মী ও ভক্তদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি, আমি সত্যিই অনেক মুগ্ধ হয়েছি।’ আবার কবে থেকে শুটিং শুরু করবেন জানতে চাইলে পার্থিব মামুন বলেন, জন্মদিনের জন্য একদিন শুটিং বন্ধ রেখেছি। আশা করি, আগামীকাল থেকেই ‘’পাগলপুর প্রতিদিনের ধারাবাহিক নাটক শুটিং শুরু করব। এই নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা ও করেছি। নাটকে বেশ কয়েক পর্ব প্রকাশ হয়েছে। এছাড়া ব্যাপক সাড়াও ফেলেছে। সবমিলিয়ে এই নাটকটি নিয়ে অনেক আশাবাদী। পার্থিব মামুনের প্রথম নাটক নির্মাণ, ভাগ্য বিড়ম্বনা ২০০০ সালে। নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও মূলত জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত যেন তিনি নাটকেই নিঃশ্বাস নিয়েছেন।তৈরী করেছেন অজস্র জনপ্রিয় নাটক। যিনি ফ্রেমে ফ্রেমে তুলে ধরেছেন বাঙালির হাসি-কান্না, দুঃখ-কষ্ট, সর্বপরি জীবন। আজ এই গুণী পরিচালকের জন্মদিন। পার্থিব মামুন চাইতেন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য। আর এ জন্য তিনি সবসময় বেছে নিতে চেয়েছেন – নির্জন গ্রাম কিংবা জেগে উঠা কোন দ্বীপ তাই প্রথমদিকে অভিনয় নিয়ে কাজ করলেও পরে রচনা ও পরিচালনায় হয়ে ওঠেন প্রধান হাতিয়ার। রাষ্ট্র ও সমাজের বেঁধে দেয়া নিয়মের মধ্যে ছটফট করা গণমানুষের চিৎকার এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসার আকুতির কথাই বলে গেছেন তিনি। ৩৯ বছরের জীবনে তিনি নির্মাণ করেছেন ৩৭৮টি একক নাটক আর অনেক গুলো ধারাবাহিক । যার প্রতিটিতে গ্রামীণ বাংলা ঐতিহ্যর ইতিহাস হয়ে আছে মাইলফলক। শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ কাহিনীর জন্য একতারা ২০০০ পুরস্কার লাভ করেন তিনি। কিংবদন্তী এই পরিচালকের ৩৯ তম জন্মদিনে সূর্বণ টিভির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।